Sold By: Sohozeto Super Shop
মোহ আর মিথ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে একটা সময় আত্নাগুলো নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। সেই ভয়ার্ত অন্ধকার কূপ থেকে কেউ আলোর দেখা পায়, কেউ পায় না। কেউ নিজের আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ লুফে নেয়, কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলে অতল থেকে অতলে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ আত্নার গল্প নিয়েই 'প্রত্যাবর্তন'।
SKU: book-00035
Categories: Books & Office
“প্রত্যাবর্তন ” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃমোহ আর মিথ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে একটা সময় আত্নাগুলো নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। সেই ভয়ার্ত অন্ধকার কূপ থেকে কেউ আলোর দেখা পায়, কেউ পায় না। কেউ নিজের আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ লুফে নেয়, কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলে অতল থেকে অতলে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ আত্নার গল্প নিয়েই 'প্রত্যাবর্তন'।
সূচিপত্রঃপ্রথম অধ্যায়ঃ আলোর পথে যাত্রা সরল পথের খোঁজে- ১৩
টাইট্রেশন- ২০
এবং, ফিরেছি আমিও- ৩০
নীড়ে ফেরার গল্প- ৩৩
পথিকের পথচলা- ৪১
আলোয় ভূবন ভরা- ৪৯
সেই সব দিনরাত্রি- ৫৩
অন্ধের যাত্রা সমীকরণ- ৬১
আপনারে খুঁজিয়া বেড়াই- ৬৭
পথ ও পথিক- ৭৭
সেই সময়ের উপাখ্যান- ৮৬
সংশয় থেকে বিশ্বাস: এক পথিকের গল্প- ৯২
আমি এবং আমাদের গল্প- ১০৪
গল্পটা হাসি-কান্নার- ১০৮
ফিরে পাওয়া গুপ্তধন- ১১৩
চলতে ফিরতে যেমন দেখেছি- ১২৪
দ্য আগলি ডাকলিং- ১২৭
প্রত্যাবর্তন- ১৩২
ফিরে আসার গল্প- ১৩৭
আমার মায়ের বিয়ের প্রস্তাব- ১৫৭
চলতে চলতে আলোর দেখা- ১৬১
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ স্রষ্টার সন্ধানেসেই মিছিলের দেখা- ১৭৩
শুদ্ধ আলোর প্রথম প্রহর- ১৮২
যেমন ছিলাম, যেমন আছি- ১৮৯
ফেরার কথাই ছিলো- ২০১
সরল পথের খোঁজেমোহাম্মদ রুহুল আমিন, এমবিবিএস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
দীনের বাইরে বড় হওয়া একজন কিশোর যেভাবে, যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে, আমার বেড়ে ওঠার গল্পগুলোও ঠিক সেরকম৷ খুব ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম। মানুষকে কষ্ট দেওয়া, পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া, বন্ধুদের সাথে মিলে অন্যের বাগানের আম চুরি করে খাওয়া, আব্বুর পকেটের টাকা চুরি করা, আত্মীয়-স্বজনের সাথে খারাপ আচরণ করা, স্কুল পালানো, সিনেমা হলে যাওয়া, পূজা-মণ্ডপে যাওয়া ইত্যাদি ছিল আমার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।
বাড়িতে নামাজ পড়তেন শুধু আমার মা। বাবা নামাজ পড়তেন না, শুধু পড়াশোনার জন্যে বকাঝকা করতেন।
মা যদিও নামাজের জন্যে হালকা বকাবকি করতেন; কিন্তু দেখা যেত, জুমার দিন জুমার নামাজেও আমি যেতে চাইতাম না। নামাজে যাওয়ার কথা বলে অন্যদিকে চলে যেতাম। আমি ছিলাম প্রচণ্ড রকম সিনেমার পোঁকা। তখন আমাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না। পাশের বাড়িতে সিনেমা দেখতে দেখতেই আমার বেশিরভাগ সময় কাটত।
আমার এমন ডানপিটে স্বভাবে মা আমার উপর চরম বিরক্ত হয়ে উঠলেন। অবশ্য বিরক্ত হবারই কথা। বাবা আমাকে কথা শুনাতেন কম, আমার কৃতকর্মের সমস্ত ঝাল তিনি মায়ের উপরেই ঝাড়তেন। মায়ের আস্কারাতেই আমি মাথায় চড়েছি, নষ্ট হয়ে গেছি, কু-পথে চলে গেছি—ইত্যাদি নানান কথার বাণে জর্জরিত হতেন আমার মা। মা একদিন করলেন কী, আমাকে পাশের বাড়ি থেকে ধরে বাসায় নিয়ে….
You will get everything you need on daily basis on our platform.